PM Mandhan Yojana: মাসে মাসে পাবেন ৩০০০ টাকা! বানাতে হবে এই কার্ড। কিন্তু কি সেই কার্ড জানেন কি? আর কেনই বা এই কার্ড বানাতে হবে সেটাও জেনে নেওয়া যাক। কেন্দ্রীয় সরকার কৃষকদের জন্য অনেক সুবিধা দেন। যার সুবিধা সরাসরি দেশের সাধারণ কৃষকদের কাছে যায়। প্রধানমন্ত্রী কিষাণ মানধন যোজনাও এই প্রকল্পগুলির মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এই প্রকল্পের অধীনে, ৬০ বছরের বেশি বয়সী কৃষকরা প্রতি মাসে ৩ হাজার টাকা করে বার্ষিক পেনশন পান। যা বছরে গিয়ে দাঁড়ায় ৩৬,০০০ টাকা।
তবে, কারা মানধন যোজনার সুবিধা পাবেন? কিভাবেই বা আবেদন করতে হবে চলুন সে বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
PM Mandhan Yojana
কারা প্রধানমন্ত্রী কিষাণ মানধন যোজনার সুবিধা পাবেন?
প্রধানমন্ত্রী কিষাণ মানধন যোজনার অধীনে সরকার সেই সমস্ত ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের সুবিধা প্রদান করে থাকে যাদের ২ হেক্টরের কম জমি রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী কিষাণ মানধন যোজনার সুবিধা পাওয়ার শর্ত?
- এই স্কিমের সুবিধা পেতে গেলে আবেদনকারীর বয়স ১৮ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে হতে হবে।
- এরজন্য আপনাকে প্রতি মাসে ৫৫ থেকে ২০০ টাকা রাখতে হবে (বয়সের উপর নির্ভর করে)।
- এরপর ওই ব্যক্তির ৬০ বছর পূর্ণ হলে তাকে প্রতি মাসে ৩০০০ টাকা পেনশন দেওয়া হবে।
প্রধানমন্ত্রী কিষাণ মানধন যোজনার সুবিধা?
- প্রধানমন্ত্রী কিষাণ মানধন যোজনার অধীনে ৬০ বছরের বেশি বয়সী কৃষকদের প্রতি মাসে ৩০০০ টাকা করে পেনশন দেওয়া হয়।
- কৃষকের মৃত্যুর পর তার স্ত্রীকে দেওয়া হয় ৫০ শতাংশ টাকা।
- প্রধানমন্ত্রী কিষাণ মানধন যোজনার অধীনে আমানতকারী যদি ১০ বছর পর্যন্ত এই স্কিম আর না চালান তবে তাকে সেভিংস অ্যাকাউন্টের সুদের হার সহ জমার পরিমাণ দেওয়া হয়।
- যদি আমানতকারী ১০ বছরেরও বেশি সময় পরে স্কিম থেকে বেরিয়ে যায়, কিন্তু যদি তার বয়স ৬০ বছর পূর্ণ না হয়, তাহলে পেনশন তহবিলে জমা করা সুদ বা সেভিংস অ্যাকাউন্টের সুদ যেটি বেশি তা পরিশোধ করা হয়।
কোন কৃষকরা প্রধানমন্ত্রী কিষাণ মানধন যোজনার সুবিধা পান না?
- যে সমস্ত কৃষকদের ২ হেক্টরের বেশি জমি রয়েছে তারা এই সুবিধা পাবেন না।
- NPS (জাতীয় পেনশন সিস্টেম) অবদানকারী কৃষকরা এই সুবিধা পান না।
- ESIC এবং EPFO এর সুবিধা নিচ্ছেন যেসব কৃষকরা তারা এই সুবিধা পাবেন না।
কীভাবে একজন প্রধানমন্ত্রী কিষাণ মানধন যোজনার জন্য আবেদন করতে পারেন?
- প্রধানমন্ত্রী কিষাণ মানধন যোজনায় (PM Mandhan Yojana) আবেদন করার জন্য প্রথমেই ওই ব্যক্তিকে তারই কাছের কোনো CSC কেন্দ্রে যেতে হবে।
- এরপর আপনাকে আধার কার্ড এবং সেভিং অ্যাকাউন্ট নম্বরের মাধ্যমে এই স্কিমে ঢুকতে হবে।
- আপনাকে ব্যাঙ্কের একাউন্টে প্রথম নগদ টাকা রাখতে হবে। এরপর অ্যাকাউন্ট থেকে ডেবিট বাধ্যতামূলক করতে হবে।
- তারপর আপনার কিষাণ পেনশন অ্যাকাউন্ট নম্বর তৈরি হবে। এরপর আপনি কিষাণ কার্ড প্রিন্ট পেয়ে যাবেন।