Home

Home

Follow Google News

Follow Now

Join Whatsapp

Join

Share The Content

Share

Telegram Channel
প্রথম পাতা চাকরির খবর ট্রেন্ডিং নিউজ রেজাল্ট সরকারি প্রকল্প স্কলারশিপ

WB Bidi Update: বিড়ি প্রেমীদের জন্য খারাপ খবর! পশ্চিমবঙ্গে আর নাও মিলতে বিড়ি

Advertisements
Advertisements

WB Bidi Update: বন্ধ হতে পারে বিড়ির ব্যবহার! মেরেকেটে আর হয়তো কয়েকটি বছর পাবেন এই দ্রব্য। কিন্তু কেন জানেন কি? বিড়ি ও সিগারেট দুইই তামাক জাতীয় দ্রব্যের মধ্যে পড়ে। তবে, কেউ আছেন সিগারেটের চেয়েও বিড়ি খেতে বেশি পছন্দ করেন। এমনকি অনেকের মধ্যে আবার বিভিন্ন ব্যান্ডের বিড়ি চেখে দেখারও প্রবণতা রয়েছে। কিন্তু তাদের জন্য এল খারাপ খবর। সম্প্রতি শোনা যাচ্ছে যে, আর কয়েকবছরের মধ্যে নাকি এই বিড়ির ব্যবসা বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

Advertisements

কিন্তু হঠাৎ কেন এই প্রসঙ্গ আসছে এই নিয়ে অনেকের মনেই নানান কিছু প্রশ্ন ঘুর পাক খাচ্ছে। তবে, সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে বিড়ি শ্রমিকেরা জানিয়েছেন যে, সরকারি সাহায্যের কারণেই এই শিল্প ধুঁকছে। বহুদিন ধরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায় কেন্দু পাতার সহায়ক মূল্য বৃদ্ধি কথা শোনা গিয়েছে। আর এই বিড়ি বানানোর অন্যতম মূল কাঁচামাল হল এই কেন্দুপাতা। আর সেই রুজি রুটিতেই পড়েছে টান।

আরও পড়ুন: রেশন কার্ডে ফ্যামিলি মেম্বার আলাদা করুন বাড়ি বসে, ফ্রি-তে মোবাইল দিয়ে

আশাকরি কমবেশি সকলেই জানেন যে, বাঁকুড়ার অন্যতম কুঠির শিল্প হল এই বিড়ি বাঁধাই। একসময় এই কেন্দু পাতা সংগ্রহে বাঁকুড়া ও জঙ্গলমহলের হাজার হাজার তপসিলি ব আদিবাসী মানুষজন যুক্ত ছিলেন। তারা এই পাতা সংগ্রহ করে লার্জ এরিয়া মাল্টিপারপাস সোসাইটি নামের সমবায়গুলিতে। যারফলে খুবই সহজেই এই পাতা পাওয়া যেত। কিন্তু গত এক দশকে বছরের পর বছর ল্যাম্পস নামের সমবায়গুলিতে পরিচালন সমিতির নির্বাচন না হওয়ায় ল্যাম্পস পরিচালনা করার ক্ষেত্রে জটিলতা দেখা গিয়েছে।

শুধু কি তাই? সমবায়গুলিকে দেওয়া সরকারি অনুদান বন্ধ হয়ে থাকায় নিয়মিত গাছ না কাটার ফলে পাতা যথাযথ পরিমানে পাওয়া যাচ্ছে না। এমনকি ল্যাম্পস কার্যত নিষ্কৃয় হয়ে পড়েছে। আর সেই কারণেই এমন একটি পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। জঙ্গলমহলের এমন হাজার হাজার মানুষ আছেন যারা কিনা এই পাতা তুলে নিজেদের জীবনধারণ করতেন। কিন্তু বর্তমানে তাদের অধিকাংশই কাজ হারিয়েছেন। যেহেতু স্থানীয়ভাবে ভালো মানের পাতা পাওয়া যাচ্ছে না তাই কারখানাগুলিকে ভিন রাজ্যের উপর ভরসা করতে হচ্ছে।

আরও পড়ুন: বিনামূল্যে রান্নার গ্যাস দিচ্ছে সরকার, এইভাবে আবেদন করলেই পাবেন

আর তাইতো বলা যায় বিড়ি শিল্পের ভবিষ্যৎ এখন খুবই সংকটে। তবে, এই বিষয়ে তৃণমূল প্রার্থী অরূপ চক্রবর্তী বলেছেন যে, ওইগুলো সব ঠিক হয়ে যাবে। আমরা চারটে করে সদস্য করে দিয়েছে। আদিবাসীদের সুরক্ষার দায়িত্ব সরকারের। এবার শুধু দেখার পালা আগামীদিনে বিড়ি শিল্পের ভবিষ্যত কোনদিকে মোড় নেয়।

About Author
Riya Saha
Riya Saha

আমি রিয়া সাহা। গত পাঁচ বছর ধরে বিনোদন, লাইফ স্টাইল ও অ্যাস্ট্রো-সহ নানা বিভাগে কন্টেন্ট রাইটিং কাজের সঙ্গে আমি যুক্ত। লেখালেখির পাশাপাশি পড়াশোনার শখ আমার বরাবরই রয়েছে। প্রবন্ধের পাশাপাশি যে কোনও জেনারেল নিউজ লেখাতেও পারদর্শী। পাঠকদের সামনে তাঁদের জন্য প্রয়োজনীয় ও গরুত্বপূর্ণ তথ্য তুলে ধরাই আমার কাজ।