WB Government Scheme: ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য এল বড়সড় সুখবর! একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি হলেই মিলবে স্মার্টফোন-ট্যাব! কিন্তু হঠাৎ করে কেনই বা এই ট্যাবের কথা ঘোষণা করা হল জানেন কি? আর কিভাবেই বা মিলবে এই ট্যাব চলুন সবিস্তারে জেনে নেওয়া যাক। প্রায় সকলেই জানেন নিশ্চই যে, এতদিন পর্যন্ত দ্বাদশ শ্রেনীর পড়ুয়ারাই রাজ্য সরকারের তরফ মারফত ১০ হাজার টাকা করে অনুদান পেতেন। আর এবার থেকে সেই তালিকায় একাদশ শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীদের নামও জুড়তে চলেছে।
WB Government Scheme
মূলত এই ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকেই সরকার, সরকার পোসিত ও মাদ্রাসা বোর্ডের একাদশ শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীদের একাউন্টে এই টাকা ঢুকবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে বিধানসভায় বাজেট পেশ হওয়ার সময়ই এই বিষয়ে ঘোষণা করেছিলেন। আর সেই মতোই নির্দেশিকা জারি হতে চলেছে। বলা যায় যে, এই শিক্ষাবর্ষে ২০ লাখ পড়ুয়াকে ১০ হাজার টাকা করে অনুদান দেবে রাজ্য সরকার।
আরও পড়ুন: স্টেশনের শৌচাগার ব্যবহারের নিয়ম পাল্টে গেল! এইভাবে টাকা দিতে হবে
তবে, জানেন কি এই ২০ লাখ পড়ুয়াকে ১০ হাজার টাকা করে দিতে রাজ্য সরকারের কত টাকা খরচ হবে? সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে জানিয়ে রাখি যে, এই টাকা দেওয়ার জন্য সরকারি কোষাগার থেকে ২ হাজার কোটি টাকা খরচ হবে। তবে, সামনেই যেহেতু লোকসভা ভোট তাই রাজ্য সরকারের এমন একটি পদক্ষেপ নিয়ে বেশ চর্চা চলছে। এমনকি এই বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন সহকারী প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সংগঠন ‘কলেজিয়াম অফ অ্যাসিস্ট্যান্ট হেডমাস্টার অ্যান্ড হেড মিস্ট্রেসেস’-র সাধারণ সম্পাদক সৌদীপ্ত দাস।
.svg)
সব আপডেট পেতে টেলিগ্রাম চ্যনেল এ যুক্ত হন
তিনি জানিয়েছেন যে, কোভিড অতিমারীর সময় অনলাইন ক্লাস চালু ছিল। এর জন্য স্মার্টফোন বা ট্যাবের প্রয়োজনীয়তা ছিল। এখন সেই প্রয়োজনীয়তা নেই। এমনকি তিনি এও প্রশ্ন তুলেছেন যে, ফোন ও ট্যাব কিনতে সরকারি কোষাগার থেকে বিপুল টাকা দেওয়া হচ্ছে কেন?। এমনকি ছাত্র-ছাত্রীরা ট্যাব পেলে পরীক্ষায় মোবাইল নিয়ে ঢোকা এমনকি প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার মতো ঘটনা আরও ঘটবে বলে মনে করছেন শিক্ষাবিদদের একাংশ।
আরও পড়ুন: ভুলে যান লক্ষ্মীর ভান্ডার! রাজ্যে চালু সরস্বতী ভান্ডার, কি কি সুবিধা পাবেন?
এক কথায় বলা যায় যে, রাজ্য সরকারের এমন একটি সিদ্ধান্ত পড়ুয়ারের লাভের চেয়ে ক্ষতিই বেশি করবে। এবার দেখার পালা এতকিছু বাতবিতন্দ্রার পর আগামীদিন এই ট্যাব দেওয়ার বিষয়ে কোন পদক্ষেপ নেয় রাজ্য সরকার।
