Rose Valley ADC: সঞ্চয়ের মধ্যেই যে ফাঁদ পাতা ছিল তার বোঝেননি অনেকেই। ফলে একটু বেশি লাভের আশায় সেই অদৃশ্য জালে জড়িয়ে পড়েছিলেন বহুজন। আর তারপর! ফল ছিল ভয়ানক, অনেকেই খুইয়েছিলেন শেষ সম্বলটুকু। রাজ্যজুড়ে হাহাকার পড়ে যায় সে সময় এমনকি আত্মহানের মত পথ বেছে নিতে হয়েছিল অনেক রাজ্যবাসীকে।
বলা হচ্ছে অভিশপ্ত সারদা-রোজভ্যালির কথা। সালটা ২০১৩ সামনে এসেছিল সারদা চিট ফান্ড কেলেঙ্কারি। সেই মামলায় সিবিআই এর হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন সুদীপ্ত সেন, দেবযানী মুখোপাধ্যায়। আর এরপরেই উঠে আসে আরো এক বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থা ‘রোজভ্যালি’। রোজভ্যালির মতোন চিটফান্ডের পর্দাফাঁস হতেই মাথায় হাত পড়েছিল সকলের। এরপর আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে রোজভ্যালির কর্ণধার গৌতম কুন্ডু গ্রেপ্তার হন। কিন্তু প্রশ্ন ছিল সারদার রোজভ্যালি কি রাজনীতির ইস্যু হয়েই থেকে যাবে? প্রতারিতদের ক্ষত কি কোনদিনও সারবে না?
রোজভ্যালির সম্পত্তি নিয়ে হাইকোর্টের নয়া নির্দেশ:
এবার সেই প্রতারিত হওয়া মানুষদের জন্য ভালো খবর! প্রতারিতদের এই ক্ষতস্থানে মলম লাগাতেই হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে ওয়েবসাইট বানাতে। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে বর্তমানে বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থা রোজভ্যালির আমানতকারীদের টাকা ফেরত দেয়ার জন্য চালু করা হলো ওয়েবসাইট। এই প্রক্রিয়া শুরু হতেই আশায় বুক বাঁধছেন চিট ফান্ডে টাকা রেখে সর্বস্বান্ত হওয়া আমানতকারীরা।
নিয়োগ দুর্নীতি থেকে রাজনৈতিক হিংসা, সারদা থেকে রোজ ভ্যালির মামলা গত কয়েক মাসে একের পর এক তদন্ত চালিয়েছে সিবিআই ও ইডি। আর রোজভ্যালি যেসব সম্পত্তি ইডি বাজেয়াপ্ত করেছিল এবার সেগুলি বিক্রি করেই আমানত কারীদের টাকা ফেরতের ব্যবস্থা করা হয়েছে। অবশ্য সব আমানতকারীকেই যে সব টাকা ফিরিয়ে দেওয়া হবে এমনটা নাও হতে পারে। কমিটির প্রস্তাব মত আমানতকারীদের টাকা ফেরানো হবে।
হাইকোর্টের তরফে কী নির্দেশ দেওয়া হয়েছে?
কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চের আগে ওয়েবসাইট চালু করে রোজভ্যালির টাকা ফেরানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন। এবার সেই পথেই এগোনো হচ্ছে। হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণ জমা করে টাকার ফেরত পাওয়ার জন্য আবেদন জানাতে পারবেন আমানতকারীরা।
রোজভ্যালির আমানতকারী হয়ে থাকলে কিভাবে সেই টাকা ফেরত পাবেন? (Know Rose Valley refund application process)
- রোজ ভ্যালিতে জমা দেওয়া টাকা ফেরত পাওয়ার জন্য rosevalleyadc ওয়েবসাইটে আবেদন করতে হবে আমানতকারীকে।
- এই ওয়েবসাইটে ক্লিক করার পর Continue তে Click করতে হবে।
- এরপর ইনভেস্টার্স ও আপলোড সার্টিফিকেট এই দুটো বিভাগে নিয়ে আবেদনকারীকে নিজের সম্পূর্ণ তথ্য নথিভুক্ত করতে হবে।
রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে রোজভ্যালি যে সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে তার পরিমাণ প্রায় একশ কোটি টাকা। এছাড়া সংস্থার ৮০০ কোটি নগদ আছে ইডির কাছে। তবে আমানতকারীদের মোট আমানতের অংকটা ছিল প্রায় তিন হাজার কোটি। তাই কিভাবে তারা টাকা ফেরত পাচ্ছে এখন সেটাই দেখার।