Knowledge Story: চলছে ভোটের মরসুম। বিজেপি বনাম তৃণমূল জোরদার টক্কর। বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ ভারতের লোকসভা নির্বাচনে (Lok Sabha Election) ভোট শুরু হয়েছে ১৯ এপ্রিল। এবার সাতদফায় হবে ভোটগ্রহন। আর ৪ জুন ভোট গণনা। কিন্ত তারমাঝেই প্রসঙ্গ আসে ভোটের কালি নিয়ে। ভারতে ভোট দেওয়ার পর ভোটারদের আঙুলে যে অমোচনীয় কালির দাগ দেওয়া হয় তা নিয়েই জনতার মনে আজও বহু প্রশ্ন বর্তমান। চলুন আজকের প্রতিবেদনে জেনে নিন এই ভোটের কালির ইতিউতি।
ভোটের পর আঙুলে লাগানো এই কালি রীতিমত অনেকের কাছেই রহস্যজনক। কারণ আপনার আঙুলে ভোট দেয়ার পর কালো রংয়ের কালি লাগানো হয়। পরে কিছুক্ষণের মধ্যেই সেটা রং পরিবর্তন করে হয়ে যায় নীল আর তারপর প্রায় ৫-৬ দিন পর্যন্ত সেই রং থেকেই যায়। তাই স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠে আসে কি দিয়ে এই কালি তৈরি হয়? এই কালি কি বাজারে কিনতে পাওয়া যায়! কেন বা এই কালির ব্যবহার করা হয়!
কেন ভোটেগ্রহনের সময় ভোটদাতার আঙুলে কালির ব্যবহার করা হয়?
কোন ব্যক্তি যাতে দুবার ভোট না দিতে পারেন সেই ভোট গ্রহণে জালিয়াতি এড়াতে ভারতের জাতীয় নির্বাচন কমিশন অমোচনীয় বা ইনডেলিবেল কালি ব্যবহার পদ্ধতি চালু করেছিল। জানলে অবাক হবেন ১৯৬২ তে দেশের তৃতীয় সাধারণ নির্বাচনে প্রথমবার এই পদ্ধতি চালু হয় যা আজও অপরিবর্তিত। ভারতে ভোট দেওয়ার পদ্ধতি কিন্তু গত বিশ বছরে আমূল বদলেছে। ব্যালেট পেপারের বদলে এসেছে ইলেকট্রনিক ভোট যন্ত্র। কিন্তু ভোটগ্রহণের পদ্ধতিতে ভোটারদের হাতে কালি দিয়ে দাগ কালি দিয়ে দাগ টেনে দেওয়ার রীতি বছরের পর বছর চলে আসছে।
আরও পড়ুন: বিক্রি হয়ে যাচ্ছে এই ব্যাংক! আপনার জমানো টাকার কি হবে?
এই কালির বিশেষত্ব কী?
এই কালির কিন্তু বিশেষ বিশেষত্ব আছে। আসলে বেশ গোপনভাবেই বানানো হয় এই ভোটের কালি। কালিতে থাকে সিলভার নাইট্রেট যা আঙুলে লাগানোর পর চামড়া তলার নুনের সংস্পর্শে এসে স্থায়ী হয়ে যায়। কালিতে মেশানো থাকে অ্যালকোহল ফলে অল্প সময়ের মধ্যেই শুকিয়ে যায়। এছাড়াও আরো নানান ধরনের গোপন রাসায়নিক উপকরণ এই কালিতে ব্যবহার হয়, যা আজো অপ্রকাশিত।
আরও পড়ুন: ATM থেকে আর ইচ্ছেমতো টাকা তোলা যাবে না! শুধু এই কয়বার ফ্রী
মজার বিষয় হচ্ছে অন্যান্য ধরনের কালির বাজার বা অনলাইনে কিনতে পাওয়া গেলেও ভোটের কাল কিন্তু সাধারণ ক্রেতারা কিনতে পারেন না। সারাদেশে শুধুমাত্র একটি সংস্থা এই কালি বানায় যার নাম “মাইসোর পেন্টস এন্ড ভার্নিশ লিমিটেড”। আর তাদের কাছ থেকে কালি কিনতে পারেন কেবল একটি প্রতিষ্ঠান তা হলো “দেশের নির্বাচন কমিশন”। উল্লেখ্য শুধু ভারত নয় বিশ্বের আরো ২৫ টি দেশে নির্বাচন উপলক্ষে কালি ব্যবহার করা হয়।