WB Food SI Exam Case Update: SSC দুর্নীতি নিয়োগ মামলার পর এবার ফুড সাব-ইন্সপেক্টর মামলায় গুরুত্বপূর্ণ রায় দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Kolkata High Court)। ২০২৩ সালের ২৩ আগস্ট এই পরীক্ষার জন্য আবেদন শুরু হয়েছিল। আর যা শেষ হয়েছিল ২০ সেপ্টেম্বর। অবশেষে চলতি বছরের গত ১৬ ও ১৭ মার্চ এই পরীক্ষা হয়। ৪৮০টি শুন্যপদের জন্য প্রায় ১২ লক্ষ পরিক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়েছিল। মোট ৬টি শিফটে এই পরীক্ষা হয়েছিল। কিন্তু পরীক্ষা শুরুর আগেই প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ ওঠে।
WB Food SI Exam Case Update
অভিযোগ উঠেছিল যে, পরীক্ষার একদিন আগে থেকেই হোয়াটসএপ, টেলিগ্রাম থেকে শুরু করে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় এই প্রশ্নপত্র ছড়িয়ে পড়ে। শুধু তাই নয় প্রশ্নপত্র উত্তর সমেত বিক্রির অভিযোগও ওঠে। আর তারপরই চাকরিপ্রাথীরা পিএসসি ভবনের সামনে প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ তুলে রীতিমতোন বিক্ষোভ করেন। আর তারপর পরই প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে শিলিগুড়ির বিভিন্ন এলাকা থেকে পুলিশ ৫ জনকে গ্রেফতার করে।
আরও পড়ুন: বাতিল ২৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি, স্কুলে পড়াশোনা কী ভাবে চলবে?
মূলত অভিযোগ উঠেছিল যে, এই ৫ জন নাকি পরীক্ষাহলে ঢুকে প্রশ্নপত্রের ছবি তুলে তা ফাঁস করে দিয়েছিলেন। আর তারপর থেকে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ যেন আরও চরমে ওঠে। শুধু তাই নয় এই অভিযোগ তুলে কয়েকজন চাকরিপ্রাথী পরীক্ষা বাতিলের দাবি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। বিচারপতি রাজশেখর মান্থার এজলাসে কেসটি ওঠে। এমনকি মঙ্গলবার মামলার শুনানিও হয়। বিচারপতি আগামী ২২ মের মধ্যে সিআইডিকে এই বিষয়ে রিপোর্ট জমা দিতে বলেছেন।
WB Food SI Exam Case
এমনকি পরীক্ষার ফল প্রকাশ সহ নিয়োগ সবক্ষেত্রেই স্থগিতাদেশ দিয়েছেন। এবার দেখার পালা অবশেষে এই কেসের মোড় কোনদিকে ঘোরে। প্রসঙ্গত, সোমবার আদালতের নির্দেশে বাতিল করা হল ২০১৬ সালের স্কুল সার্ভিসের প্যানেল।
বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি মহম্মদ সাব্বির রশিদের ডিভিশন বেঞ্চের রায়ে চাকরি হারালেন প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মী।
এদিন ২৮১ পাতার রায়ে বিচারপতিদের নির্দেশ বেআইনি নিয়োগের অভিযোগে যাদের চাকরি গিয়েছে, তাঁদের সুদ সমেত বেতন ফেরত দিতে হবে। এমনকি যেখানে সুদের হার ধরা হয়েছে ১২ শতাংশ। একই সঙ্গে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে, রাজ্যকে ১৫ দিনের মধ্যে নতুন শিক্ষকদের নিয়োগ করতে হবে। যদিও ইতিমধ্যেই এই ২৬ হাজার শিক্ষকদের হয়ে সুর চড়িয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি স্পষ্টই জানিয়ে দিয়েছেন যে, কলকাতা হাইকোর্টের রায় বেআইনি রায়।